বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন চন্দনাইশের অপহৃত ঠিকাদারকে দীর্ঘ ৬ দিন পর পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ফেলে গেলো ধোপাছড়ির চিংড়ি ঘাটা জিরো ব্রিজ এলাকায়। ঘটনার বিবরণে অপহৃত মো. মোজাম্মেল হক তালুকদার (৪৫) ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত বুধবার(৯ই মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাশিমপুর নাসির মোহাম্মদপাড়ায় সাইডে কাজ তদারকি করে ফেরার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে গতকাল ১৪ই মার্চ সোমবার রাত ১১ টার সময় পরিবারের মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করে বলা হয় ধোপাছড়ি চিংড়ি ঘাটা জিরো পয়েন্ট ব্রিজের পাশে মোজাম্মেল হককে রেখে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা উক্ত স্থানে গিয়ে অপহৃত মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে বিষয়টি চন্দনাইশ থানায় অবহিত করে, চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, হাশিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাশিমপুর নাসির মোহাম্মদপাড়া এলাকায় বরুমতি খালের ভাঙন প্রতিরোধে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান একটি প্রকল্পে স্কেভেটর ভাড়া দেন মোজাম্মেল হক। ঠিকাদার মোজাম্মেল হক উদ্ধার ও মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলেচন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনে জানান সোমবার রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে মোজাম্মেলের পরিবারের কাছ থেকে কল পেয়ে তাৎক্ষণিক ধোপাছড়ী পুলিশকে উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হলে পুলিশসহ উনার পরিবার মোজাম্মেল হককে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে ভিকটিম এর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক, মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু আমরা জানি না, এ বিষয়ে মামলা চলমান ভিকটিম সম্পূর্ণ মানসিক সুস্থ হলে উনার সাথে কথা বলে মামলার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড: শাহীন জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে মোজাম্মেল হকের শারীরিক খোঁজ খবর নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চলে আসি, বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন। তবে মানসিক ভাবে চিন্তাগ্রস্ত। অপহরণের বিষয়ে মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বলে জানা যায় অপহরণকারীরা অপহরণ পরবর্তী তাকে দীর্ঘ ৪/৫ কিলোমিটার এলোপাতাড়ি হাঁঠিয়ে একটি নির্জন কক্ষে আটকে রাখে, এবং পরিচিত জনদের নিকট মুক্তি পনের টাকার জন্য ফোন করতে থাকে।তবে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন কিনা তা জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।উল্লেখ্য, অপহৃত মো. মোজাম্মেল হক তালুকদার গত ইউপি নির্বাচনে হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেচেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন।
