রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি( শাকিল মন্ডল) শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন সংগঠন এ সময় ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহরের জিমনেশিয়াম থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্ব স্ব পোশাক পরিহিত কয়েকশত নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মেলার উদে¦াধন করা হয়। পরে শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এতে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, রাজনীতির মহান কবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। শিশু-কিশোরদের প্রতি তার বাৎসল্য ছিল অপরিসীম। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে শিশুদের ছিল অবাধ বিচরণ। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে দেশ গড়ার নেতৃত্ব তারাই দেবে। বঙ্গবন্ধু কোনো শিশুদের সমাবেশে গেলে বা শিশুরা বঙ্গভবনে তার সংস্পর্শে আসলে তিনি তাদের সঙ্গে মিলে-মিশে একাকার হয়ে যেতেন।
বক্তারা আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল একটি জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামও শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। কিন্তু এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় পিতার শরীর। সেই কালরাত কেড়ে নেয় স্ত্রী-সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের জীবন। কেবল দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ বাবার আদর্শ আর স্বপ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বাংলাদেশকে, সোনার বাংলার পথে।