এক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭টি বাসে আগুনের ঘটনায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রধান সড়কসহ বিভিন্নস্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।
এছাড়া চলাচলকারী যানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হোটেল, মন্দির, গির্জায় বিশেষ অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি গোয়েন্দারা এসব স্থানে নজরদারি বাড়িয়েছেন। সমন্বিত নিরাপত্তার প্রধান উদ্দেশ্য দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, বলেন ওসি আবু বক্কর।
অন্যদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে রাজধানীর ছয়টি স্থানে একটি করে মোট ছয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ঘটনা ঘটে শাহজাহানপুরে। এরপর কাঁটাবন, মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের কাছে, গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজার এলাকা, বংশালের নয়াবাজার ও প্রেসক্লাবের কাছে বাসে আগুন দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এর মধ্যে কাঁটাবনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ডিসি মিডিয়া ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা মনে হচ্ছে। কয়েকজনকে আমরা শনাক্তও করেছি। তবে তারা যেন আর সুযোগ না পায় সেজন্য রাজধানীজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।’