চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি: ইসমাইল ইমন চলতি মাসের ৬ ও ৭ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ৩ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর নর্থ ট্রার্মিনাল এর গেইট দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আকৃতির লোহার পাইপ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাচার করে এম্প্লয়েজ ইউনিয়ন ২২১২ এর সভাপতি ফরিদুল আলম এর ভাই ড্রাইভার বাবুল।
সেই সময় গেইটের দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র হ্যাড গার্ড নুরুল আলম। পাচার হওয়া মালামালের বিষয় সম্পর্কে প্রধান রক্ষী নুরুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “ আমার গেইট দিয়ে কোনো মালামাল বের করার সুযোগ নাই, দুশমনেরা দুশমনি করছে। কারা দুশমনি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এক পর্যায়ে তিনি নেটওয়ার্ক পাচ্ছেনা বলে ফোন কেটে দেন।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায় পাচার হওয়া মালামাল পতেঙ্গা নারকেল তলার পাশে অবস্থিত একটি পুরাতন স্ক্র্যাপ দোকানে বিক্রি করে ড্রাইভার বাবুল। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের টার্মিনাল ম্যানেজার (আই এম) আবুল মেরাজ বিষয়টি নিজের মতো করে ধামাচাপা দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে টার্মিনাল ম্যানেজার (আইএম) আব্দুল মেরাজ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বল্লে তিনি বলেন “এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ গড়িমসি করলেও পরে তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
কিন্তু এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ড্রাইভার বাবুলের সাথে মুঠোফোনে কথা বল্লে তিনি দোষ স্বীকার করে জানান “ এইটা তো আমার অফিস আইএম স্যার যেটা বলছিলো, ঊনি তো এটা সমাধান করে দিছে,এটা আবার আপনার কাছে গেছে, আইএম স্যারের সাথে আলাপ আলোচনা করে কথা বলবো, আর স্যারেরা তো আমার থেকে জিনিস গুলো রাইখ্খা দিছে, যেখানের জিনিস সেখানে। সব মালামাল উদ্ধার হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন “অগুলো আমি স্যারকে বুঝায় দিছি, প্রাথমিক পর্যায় যা ক্ষমা চাওয়া চাইয়া নিছি… কথার এক পর্যায়ে তিনি সংবাদ কর্মীর সাথে দেখা করার প্রস্তাব প্রদান করেন।