চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন ভুক্তভোগী ভিকটিম বিবাহিত ও তার দুটি সন্তান রয়েছে। ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হাশেমনগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ২৩/২৪ দিন আগে ভিকটিমের স্বামী পুলিশ কর্তৃক আটক হয়ে জেল হাজতে আছে। এই কারনে বাদী তার সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ী সীতাকুন্ড থানাধীন মুরাদপুরে চলে যায়। গত ২৮ জুলাই সন্ধ্য আনুমানিক ০৭টায় ভিকটিম সংবাদ পান যে, কতিপয় দুস্কৃতিকারী তার বাসায় ঢুকে মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। ভিকটিম সংবাদ পেয়ে এসে দেখেন দরজা খোলা এবং মালামাল এলোমেলো অবস্থায় আছে। আসামীরা তার বাসা থেকে আনুমানিক ১,৫০,০০০/- টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেয়া মালামাল আনার জন্য ভিকটিম তার ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই এর ছেলে সহ ২৮ জুলাই দিবাগত রাত অনুমান ১২:১৫ মিনিটের দিকে বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার উপর পৌছলে দুস্কৃতিকারীরা ভিকটিম, তার ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই এর ছেলেকে মারধর করতে করতে সীতাকুন্ড থানাধীন বাড়বকুন্ড ইউনিয়নস্থ মকবুল রহমান জুট মিল সংলগ্ন রেল লাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে আটক রেখে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তার ভাগ্নি ও ফুফাতো ভাইকে লাঠি দ্বারা মারধর করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমের ধর্ষনকালীন সময়ের ছবি তাদের মোবাইলে ধারন করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাত অনুমান ২ঘটিকায় পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে আসামীরা তাদের তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১০,০০০/- টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড়ভাই ঘটনাটি জেনে বাদীকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানায় ০৪জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ০১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মামলা রুজুর পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটানা অভিযান পরিচালনা করে এবং মামলা রুজুর ১৩ ঘন্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামী ধর্ষক মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও ০৩ নং আসামী মোঃ জাহেদ @ মোস্তফা জাহেদকে ৩০শে জুলাই শনিবার রাতে সীতাকুন্ড থানাধীন বাড়বকুন্ড মিজিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা বর্ণিত মামলার এজাহার নামীয় আসমী বলে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাদ্দাম হোসেন এর বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় উল্লেখিত মামলা ছাড়াও মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের সর্বমোট ০৬ টি মামলা পাওয়া যায় গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।