চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ০৪ জন সদস্য গ্রেফতার। গত ১০/০৯/২০২২ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকা হইতে ১১/০৯/২০২২ইং তারিখ দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ।সিএমপি, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পূর্ব মীরপাড়া, ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা, ০১নং রুম। অত্র মামলার বাদী রোজিনা খাতুন (২০) এর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) অত্র বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন স্টারশীপ ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে। বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) গত ০৯/০৯/২০২২ইং তারিখ চাকুরীতে যাওয়ার সয়ম রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ফ্যাক্টরীতে যাওয়র সময় অসুস্থ হলে আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) তাকে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়। পরের দিন আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) বাদীর ছোট বোন সুস্থ হয়েছে কিনা দেখার জন্য বাদীর বাসায় আসে এবং বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) এর নাম্বার নিয়ে যায়। আসামী সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) বাদীর বোনের নাম্বারে ফোন করে জনায় তাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কিন্তু বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) এতে রাজি হয় নাই। আসামী মোঃ রফিকুল বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) এর নাম্বারে কল করে কৌশলে বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) দ্বয়কে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পূর্ব মীরপাড়া, ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা, ০১নং রুমে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে আসামী ১। মোঃ ইউনুছ (২৬), ২। সুজন কান্তি মজুমদার (৩৫), ৩। মোঃ রফিকুল (২৮) ৪। মোঃ সাইফুল (৩০) গণ খদ্দের সংগ্রহ করে বাদীর ছোট বোন খাইরুননেছা (১৭) ও আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) দ্বয়কে দিয়ে পতিতা বৃত্তির কাজ করতে বাধ্য করে। বাদীর উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র বায়েজিদ থানার এসআই/ খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১১/০৯/২০২২ তারিখ ৩.০০ ঘটিকার সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পূর্ব মীরপাড়া, ফয়েজ বেকারীর বাড়ীর সামনে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী, ৪র্থ তলা, ০১নং রুম হতে আসামীদেরকে আটক করে তাহাদের হেফাজতে ভিকটিম খাইরুননেছা (১৭) ও বাদীর আত্মীয় শিউলী আক্তার (১৬) কে উদ্ধার করে।আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মামলা নং-২০, তারিখ-১১/০৯/২০২২ইং, ধারা- মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/১১/১২ রুজু করা হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে ভিকটিম এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা জানান বায়েজিদ থানার আসামি গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে সেই খানে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ভিকটিমদের ধর্ষণ অভিযোগ আমলে নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করতে বায়েজিদ থানায় পাঠালে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই খোরশেদুল আলম ভিকটিম দ্বয়কে নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ডিএনএ টেস্ট করা হতে বিরত রাখেন। তবে এই বিষয়ে এস আই খোরশেদ আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।