চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন শিক্ষক হলেন জাতির আলোক বর্তিকাবাহী এবং মানব জাতির ভবিষ্যতের রূপকার। তিনি আমাদের বন্ধু,দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়,শিক্ষকদের থেকে যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করা হয়,তা জীবনের বাকি দিনগুলোতে বহন করে থাকি আমরা। জ্ঞানী ব্যক্তিরা যথার্থই বলেন,যে নিজেই নিজের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে সে শিক্ষিত না হয়ে বোকা হয়। শিক্ষক নিছক বক্তা নন। তিনি আশ্চার্য, জ্ঞানবুদ্ধ। তার মুখনিঃসৃত কথা বক্তৃতা নয়- তা হবে বাণী। বাণী আর বক্তৃতার পার্থক্য বোঝ ? না বুঝলে তুমি কিছুই বোঝনি। তুমি শিক্ষক পদবাচ্য নও। বক্তৃতা করে প্রচারের জন্য প্রশংসা পাবার জন্য আর ভোট পাওয়ার জন্য। আর বাণী দেয়া হয় শিক্ষার্থীর কানের ভেতর দিয়ে তার মর্মেতে কল্যাণ বুদ্ধি জাগ্রত করার লক্ষ্যে। বক্তৃতা শ্রোতার মনকে উত্তেজিত করে। বাণী শ্রোতার অন্তরের গভীরে মণি দ্বীপকে জ্বেলে দেয়। এমনি একজন গুণী শিক্ষক বাংলাদেশ জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনর চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ এ উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সুদীর্ঘ ১৯ বছর ধরে জ্ঞানের আলোয় মশাল জ্বেলে তিনি শিক্ষকতা পেশায় একজন সফল ব্যক্তিত্ব। এ গুণী শিক্ষকের সাথে ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক,শিক্ষক ও গভার্নিং বডির সু-সম্পর্ক বিদ্যমান। উল্লেখ্য যে উপজেলা ইউএনও’র কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাছরীন আক্তার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সভায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি অনেক গুলো সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সচেতনতা ও উদারতার পরিচয় প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনাইশ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে উপজেলার মাষ্টার ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন। ইতোপূর্বে তিনি ২০১৫ সালে উপজেলা শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে গৌরব অর্জন করেন।
তিনি ১৯৭৫ সালে চন্দনাইশ উপজেলা উত্তর জোয়ারা এলাকায় জম্মগ্রহণ করেন। পিতার আলহাজ্ব ইসলাম মিয়া ও মাতা হোসনে আরা বেগমর ২সন্তান ও ৩ মেয়ের মধ্যে নাজিম উদ্দীন সবার বড়। তিনি ১৯৯১ সনে কাঞ্চননবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও ১৯৯৩ সনে গাছবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং ১৯৯৫ সনে ডিগ্রী পাশ করেন। সর্বোপরি তার এ অর্জন ও সফলতায় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।