ডেক্স নিউজ ভুক্তভোগী ১৮ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন সিকদারপাড়া এলাকায় তার মা এবং ভাই বোনসহ বসবাস করত। ভিকটিমদের পাশের বাড়িতে বসবাসকারী আসামী মোক্তার আহমদ ভিকটিমকে প্রায় সময়ই বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব ও অশালীন মন্তব্য করতো এবং তার প্রস্তাবে রাজী না হলে তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিত। আসামী অত্র এলাকার প্রভাবশালী লোক হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার প্রতিবাদ করতে ভয় পেতো। গত ২৭ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় আসামী মোক্তার তার সহযোগী শ্যামল দেবনাথ শিমুল ও আনু বেগম এর সহায়তায় ভুক্তভোগী কে তার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী মোক্তার এবং শ্যামল ভিকটিমকে অপরিচিত একটি স্থানে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন ২৮ অক্টোবর সকালে আসামীরা ভুক্তভোগী কে গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁশখালী থানাধীন কাতারিয়া এলাকায় ভিকটিমের আত্মীয়ের বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় ০৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করে।
অবশেষে গত ০৮ নভেম্বর উক্ত গণধর্ষণ মামলার ১নং আসামী ধর্ষক মোক্তার হোসেন র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গ্রেফতার হয় এবং ধর্ষক শ্যামল দেবনাথ’কে গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, উক্ত ধর্ষণ মামলার ২নং আসামী শ্যামল দেবনাথ চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার দোহাজারী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৯ নভেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকায় পয়েন্টকৃত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী শ্যামল দেবনাথ শিমুল কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী বলে নিজেকে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।