মোঃ মাকসুদ ইসলাম ফাহিম গত ৩০ জুলাই সকাল আনুমানিক ০৯ ঘটিকায় চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মেখল রোড এলাকার একটি বাসা হতে ঘাড় ভাংগা অবস্থায় একজন গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। র্যাব-৭ চট্টগ্রাম জানায় হত্যাকান্ডের পর ভিকটিমের স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পলাতক থাকে। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ভিকটিমের স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলা হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত হত্যা মামলায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখার পরিশেষে গত ১২ নভেম্বর আনুমানিক বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোজাম্মেল হোসেন কে গ্রেফতার করে। মোজাম্মেল হোসেন চট্টগ্রাম এর সাতকানিয়া থানাধীন কেউচিয়ায় বসবাসকারী সিদ্দিক আহমেদ এর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোজাম্মেল হোসেন ভিকটিমকে হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে, বিগত ২ বছর পূর্বে নিহত ভিকটিমের সাথে আসামী মোজাম্মেল হোসেন এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে তারা বিবাহ করে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। কিছুদিন পূর্বে পারিবারিক কলহের জের ধরে ভিকটিম একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সাথে মনোমালিন্য চলছে। ভিকটিম তার ভাইয়ের বাড়ীতে আসার পর থেকে মোজাম্মেল তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করে এবং তাকে আশ্বস্ত করে যে, সে আর কখনো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে না। গত ২৮ জুলাই ২০২২ এ ভিকটিম তার স্বামী মোজাম্মেল এর ভাড়া বাসায় ফিরে যায়। ভিকটিম স্বামীর বাসায় ফিরে আসার পর পূনরায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় এবং ঝগড়ার এক পর্যায়ে মোজাম্মেল ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘাড় ভেংগে দেয়। পরবর্তীতে মৃতদেহ বাসায় ফেলে রেখে মোজাম্মেল পালিয়ে যায়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম জানায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।