বেশ কয়েক মাস আগে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অ্যাসিড পান করেছিল বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা ১৯ বয়সী রাবেয়া। এতে গলা থেকে খাদ্যনালি হয়ে পাকস্থলী-সবটাই পুড়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় রাবেয়ার। খাদ্যনালি সরু হতে থাকে। মুখ পর্যন্ত খুলতে পারছিল না সে।
এরপর মেয়েটিকে নিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন মা নার্গিস। খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় মেয়ের কোনো চিকিৎসাই করাতে পারেননি তিনি। এই অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুর-পুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল-এ আসেন নার্গিস।
এটি ক্যান্সার হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে কাকুতি মিনতি করেন মা। সৌজন্যবোধ দেখিয়ে মায়ের সেই আকুতি ফেরাতে পারেননি চিকিৎসক ডা. অর্ণব গুপ্তা।
ক্যান্সারের চিকিৎসক ডা. গুপ্তা বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে সাধারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়। কিন্তু ক্যান্সার রোগী নয়- এমন এক মৃত্যুপথযাত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য মাত্র ২ হাজার ২৭০ রুপি খরচ করতে হয়। অন্য জায়গায় এই চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ রুপি খরচ হতো।’
তিনি বলেন, ‘মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে মা হাতজোড় করে মিনতি করেন, আমরা তাকে ফেরাতে পারিনি। আর সেই কারণেই রোগীকে বাঁচাতে হাসপাতালের নিয়ম ভঙ্গ করতে হয়। অস্ত্রোপাচারের পর ওই রোগী এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন।’