নোয়াখালা জেলার হাতিয়া থানা এলাকায় প্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলার আসামি নয়ন চন্দ্র দাসকে নোয়াখালী বেগমগন্জ থেকে গ্রেফতার করছে র্যাব -৭ ,চট্রগ্রাম।ভিকটিম প্রতিবন্ধ শ্যালিকা নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত।ভিকটিমের মা গত ০৩ মার্চ দুপুরে প্রতিবন্ধি ভিকটিমকে ঘরে একা রেখে পানি আনতে বাইরে যান।ঘরে একা পেয়ে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিকটিম শ্যালিকাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ভিকটিমের মা পানি নিয়ে এসে দরজা বন্ধ দেখলে দরজা ধাক্কা দিলে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস দরজা খুলে পালিয়ে যায়।ভিকটিমের মা ঘরে ডুকে ভিকটিমকে বিবস্ত্র অবস্থাই কান্নাকাটি করতে দেখে ইশারা ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম ইশারাই বুঝিয়ে দেয় আসামী তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে নেয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নোয়াখালীর বেগমগন্জ থানাধীন রেল স্টেশন এলাকায় লুকিয়ে আছে যানতে পারে র্যাব -৭ ,চট্টগ্রাম।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৫ এপ্রিল র্যাব এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী নয়ন চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে।আসামী নোয়াখালী জেলার,হাতিয়া থানাধীন,গামছাখালী গ্রামের,নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে।পরবর্তীতে উপস্তিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষন মামলার একমাএ পলাতক এজাহার নামীয় আসামী।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাই হস্তান্তর করে র্যাব -৭, চট্টগ্রাম।