আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা তার ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে এই হত্যা পরিকল্পনার একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
আশরাফুজ্জামান খান ছিলেন সেই হত্যাকাণ্ডের ‘চিফ এক্সিকিউটর’। আর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ছিলেন সেই পরিকল্পনার ‘অপারেশন ইনচার্জ’।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।
২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর ফাঁসির রায় আসার পর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ২৪ নভেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিচারক ও তাদের চ্যালাচামুণ্ডারা নিজেরা উল্টো ঝুলে পড়লেও আমাকে ঝোলাতে পারবে না।”
শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি, জামাতের এই সুপার অ্যাকটিভ নেতা, যিনি ইউরোপ, আমেরিকাতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। সেই জায়গাতে সরকার কেন এই লোকটাকে ছাড় দিচ্ছে? বাংলাদেশের হাই কমিশন কিছু করতে পারল না? এত টাকা থাকার পরও, এত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ শক্ত হওয়ার পরও যেখানে সাকা চৌধুরী, নিজামীদের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেল; সেখানে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের কিসের এত ক্ষমতা?”