নিহত শিশু সিফাত আহমেদ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝানুগাছ চাপানি গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ কাজী (১২) পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আমীন কাজীর ছেলে।
সোমবার দুপুরে সিফাত তার বাবার এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে খেলা করছিল। এসময় আব্দুল্লাহ খেলার কথা বলে সিফাতকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সিফাত বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে । রাতে পাশের দারগারচালা গ্রামের ডলফিন বেকারির সামনে সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি বাগানের ঝোঁপের ভেতর তার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখা যায়।
তার মাথা ইট দিয়ে থেতলানো ও পেটে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ইট ও কাঁচের টুকরো উদ্ধার এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে ।
আটক আব্দুল্লাহ পুলিশকে জানায়, ওই বাগানের পাশে গিয়ে খেলার জন্য সিফাতের কাছে মোবাইল চাইলে সে দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিফাতের মাথায় ঘুষি মারে আব্দুল্লাহ। তখন সিফাত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও মারা যায়। পরে লাশ প্রাচীর টপকিয়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়।
সেখানে ইট দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয় এবং ভাঙা বোতলের কাঁচ দিয়ে পেটে একাধিক আঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলে। পরে মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আব্দুল্লাহ।